দৈনিক বাংলার সম্পাদক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক তোয়াব খান মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
আজ (১ অক্টোবর) দুপুরে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। বার্ধক্যজনিত জটিলতায় অসুস্থ হলে তাকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ বেলা ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
দৈনিক বাংলার নির্বাহী সম্পাদক শরিফুজ্জামান পিন্টু রাইজিংবিডিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মরহুমের জানাজা ও দাফনের বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি।
নিউজবাংলা ও দৈনিক বাংলার সম্পাদক হিসেবে যোগ দেওয়ার আগে সবশেষ দৈনিক জনকণ্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদক ছিলেন তোয়াব খান।
১৯৩৪ সালের ২৪ এপ্রিল সাতক্ষীরা জেলার রসুলপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। সাংবাদিক হিসেবে সুদীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য কর্মজীবন তার। সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৬ সালে একুশে পদক পান তিনি। একই বছর তাকে বাংলা একাডেমি সম্মানীত ফেলো নির্বাচিত করে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সেক্রেটারি ছিলেন তোয়াব খান। পরে রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ এবং প্রথম অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা সাহাবুদ্দীন আহমদের প্রেস সচিবের দায়িত্বও পালন করেন তিনি।
ছাত্রজীবন থেকেই তোয়াব খান তৎকালীন বিভিন্ন পত্রিকায় সমকালীন ইস্যু নিয়ে লেখালেখি করতেন। ১৯৫৩ সালে তার সাংবাদিকতা জীবনের শুরু। ১৯৫৫ সালে যোগ দেন দৈনিক সংবাদে। ১৯৬১ সালে দৈনিক সংবাদের বার্তা সম্পাদক হন। ১৯৬৪ সালে যোগ দেন দৈনিক পাকিস্তানে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে শব্দসৈনিকের ভূমিকা পালন করেন তোয়াব খান। সে সময় তার আকর্ষণীয় উপস্থাপনায় নিয়মিত প্রচারিত হয় ‘পিণ্ডির প্রলাপ’ নামের অনুষ্ঠান।
দেশ স্বাধীনের পর দৈনিক পাকিস্তান থেকে বদলে যাওয়া দৈনিক বাংলার প্রথম সম্পাদক ছিলেন তোয়াব খান। ১৯৭২ সালের ১৪ জানুয়ারি তিনি এই দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দেশের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ও প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের মহাপরিচালকের দায়িত্বও পালন করেন তিনি।